ফ্রিল্যান্সিং শেখার সেরা ওয়েবসাইট (২০২৫) – ঘরে বসে আয় শিখুন
বর্তমান এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে ফ্রিল্যান্সিং এর চাহিদা ব্যাপক। যারা
ফ্রিল্যান্সিং করে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে চাই তাদের জন্য আমরা এই
আর্টিকেলটিতে ফ্রিল্যান্সিং শেখার সেরা ওয়েবসাইট সম্পর্কে বিস্তারিত সব তথ্য
তুলে ধরেছি।
বর্তমানে অনলাইন কোর্স ক্রয়ের ক্ষেত্রে অনেকেই প্রতারিত হন। আমরা এই আর্টিকেলটিতে
যে সকল ফ্রিল্যান্সিং শেখার ওয়েবসাইট নিয়ে আলোচনা করেছি তা পুরোপুরি সেফ এবং আশা
করি এগুলো থেকে ভালো কিছু শিখতে পারবেন। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
সূচিপত্রঃ ফ্রিল্যান্সিং শেখার সেরা ওয়েবসাইট (২০২৫) – ঘরে বসে আয় শিখুন
ফ্রিল্যান্সিং কী এবং কেন শিখবেন?
ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটি মুক্ত পেশা যেখানে আপনি আপনার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে
ক্লাইন্টদেরকে পর্যাপ্ত ভ্যালু প্রদান করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং করতে বা শিখতে চাইলে আপনার অবশ্যই মোবাইল বা কম্পিউটার এর সাথে
কিছু দক্ষতা থাকা লাগবে।
এখানে কাজের কোনো সময় নেই, আপনি বায়ারদের কাছে থেকে কাজ নিয়ে যেকোনো সময় কাজ করতে
পারেন তবে বায়ারের চাহিদা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করে দিতে
হবে। ফ্রিল্যান্সিং এ ধরাবাধা কোনো স্যালারি নেই এখানে আপনি আপনার কাজের উপর
ভিত্তি করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং শেখার বেশ কিছু শুবিধা রয়েছে যেমনঃ স্বাধীনভাবে কাজ করা, ঘন্টার
ভিত্তিতে অর্থ উপার্জন করতে পারা, নিজের ইচ্ছা মতো প্রজেক্ট বাছাই করে নেওয়া,
নিজের শুবিধা অনুযায়ী কাজের সময় নির্বাচন করে কাজ করা। ক্লাইন্টদের কাজের রেট
ভালো না লাগলে যেকোনো সময় উইক অফ নেওয়া ইত্যাদি।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব
ডিজাইন, ভিডিও ইডিটিং, অ্যাপ ডেভলপমেন্ট, অ্যাকাউন্টস ম্যানেজমেন্ট, গেম
ডেভলপমেন্ট ইত্যাদি কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ফাইবার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার
এর মতো মার্কেটপ্লেসে আপনি এ কাজ গুলো করে ঘড়ে বসে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং শেখার আগে যেসব স্কিল জানা দরকার
ফ্রিল্যান্সিং করার আগে আপনার মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে পূর্ব ধারনা নেওয়া অত্যন্ত
জরুরি। নতুনরা অনেক সময় ভুল মার্কেটপ্লেস নির্বাচন করে। ফলে এমনও হয় যে, কাজ
পাই না, আবার কাজ পেলেও পেমেন্ট পাই না। এই জন্য মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে পূর্ব
ধারনা থাকতে হবে।
কোন মার্কেটপ্লেসে কাজ করা আগে কাঙ্খিত সেই মার্কেটপ্লেসটি ট্রাস্টেড কিনা, তাদের
পেমেন্ট সিস্টেম কি, কত বছর ধরে তারা সার্ভিস দিচ্ছে এই সমস্ত বিষয় আপনাকে
জানতেই হবে। নতুনরা অনেক সময় ভুল মার্কেটপ্লেস নির্বাচন করে। ফলে এমনও হয় যে,
কাজ পায় না, আবার কাজ পেলেও পেমেন্ট পাইনা। এই ধরনের আরও বিভিন্ন সমস্যা তৈরি
হয়।
এই জন্য ফ্রিল্যান্সিং করার আগে আপনাকে মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে পূর্ব ধারণা নেওয়া
আবশ্যক। কিছু পদক্ষেপ জেনে সঠিকভাবে স্কিল ডেভেলপ করে বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক
মানুষ এই পেশাতে সফল হচ্ছে। ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি ডিএস এর তথ্যমতে
বর্তমানে বাংলাদেশে একক ১০৫০০০০ জন অ্যাকটিভ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে।
যারা সফলতার সাথে কাজ করছে। ফ্রীলান্স যাত্রা শুরু করার আগে কিছু বিষয় জেনে রাখা
আমাদের অবশ্যই জরুরি। যা আমাদের কাজে লাগবে বলে আশা করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং করার
পূর্বে যে সব বিষয়ে জানা দরকার তার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
- ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য প্রথম রিকোমেন্ডেড বিষয় হলো আপনার স্কিল। অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন আপনাকে এমন একটি বিষয়ের স্কিল ডেভেলপ করতে হবে। সেটা হতে পারে ওয়েব ডিজাইন, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন বা ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি।
- ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ক্যারিয়ার গড়তে চান, তবে ফ্রীল্যান্সিংকে মোবাইলে টার্গেট করা উচিত হবে না। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনার একটি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ এর প্রয়োজন হবে। অনেকে প্রশ্ন করেন মোবাইলে কি ফ্রিল্যান্সিং করা যায় অনেকেই প্রশ্ন করেন মোবাইলে কি ফ্রিল্যান্সিং করা যায় ? এই প্রশ্নের সাধারণ উত্তর করা যায়।কিন্তু আপনি যদি প্রফেশনালি ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ার গড়তে চান, ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য মোবাইল ব্যবহার করা উচিত হবে না।
- ফ্রিল্যান্সিং যেহেতু ইন্টারনেট ভিত্তিক কাজ তাই ইন্টারনেট সংযোগ অবশ্যই লাগবে। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনার কাঙ্খিত ডিভাইসে ইন্টারনেট সংযোগ এর প্রয়োজন হবে। ইন্টারনেট ছাড়া ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব হবে না।
- ফ্রিল্যান্সিং এর কোন সেক্টরে কাজ শিখবেন এই বিষয়ে কারো থেকে পরামর্শ ভুলেও নিবেন না। আপনার যে সেক্টর ভালো লাগে সেটাই বাছাই করুন।
- আপনি কোন স্কিল সেল করে ডলার ইনকাম করেবন তা নিয়ে ভাবলে আমি বলব প্রত্যেকটা বিষয় নিয়ে সার্চ করুন, ব্লগ পড়ুন, ভিডিও দেখুন পারলে কিছুদিন শেখার চেষ্টা করুন। তারপর আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন আপনার জন্য কোন কাজটি পারফেক্ট, আর যখন বুঝতে পারবেন তখন নিজেই যে কোন একটা স্ক্রিল বাছাই করে নিতে পারবেন।
- নির্দিষ্ট একটা সময়ের জন্য মাইন্ড সেট তৈরি করে ফেলুন এই সময়ের মধ্যে যত যাই হোক না কেন আপনি স্কিল ডেভেলপ করা ছেড়ে দিবেন না। প্রতিদিন রুটিন মাফিক চর্চা চালিয়ে যাবেন। আপনি যে সেক্টরেই স্কিল ডেভেলপ করেন না কেন কমপক্ষে এক বছর সময় হাতে নিয়ে নামবেন, এই এক বছরের মধ্যে কোন ডলার ইনকাম করার চিন্তাও মাথায় আনবেন না।
- আপনি যে সেক্টরে স্কিল ডেভেলপ করছেন সেই সেক্টরের স্কিল ডেভেলপ করার পাশাপাশি ফেসবুক গ্রুপ গুলোতে জয়েন করুন, বিভিন্ন ফোরামে একটিভ থাকুন, ভালো কিছু ইউটিউব চ্যানেল, ব্লক ফলো করুন।
ফ্রিল্যান্সিং শেখার ওয়েবসাইট বাছাই করার নিয়ম
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য প্রয়োজন যথাযথ দক্ষতা।এই দক্ষতা অর্জনের জন্য সঠিক
ওয়েবসাইট বা অনলাইন প্লাটফর্ম বেছে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফ্রিল্যান্সিং
একটি জনপ্রিয় ও লাভ জনক পেশায় পরিণত হয়েছে বর্তমান ডিজিটাল যুগে। অনেকেই চাই
ঘরে বসে অনলাইনে আয় করতে।
আজকের এই লেখায় আমরা বিস্তারিতভাবে জানব একটি ভালো ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট
বাছাই করার মাধ্যমে কিভাবে ঘরে বসে আয় করা সম্ভব। ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট বাছাই
করতে যেসব বিষয়ের ওপর নজর দিতে হয় তা হলোঃ
১. কোর্স কন্টেন্ট ও কাঠামো ভালোভাবে যাচাই করুন
একটি মানসম্পন্ন ওয়েবসাইট বা কোর্সে সাধারণত নিচের বিষয়গুলো থাকেঃ
- প্র্যাকটিক্যাল প্রজেক্ট বা রিয়েল লাইফ উদাহরণ থাকে
- জব মার্কেট বা ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে কাজ করার গাইড দেওয়া হয়
- কুইজ, অ্যাসাইনমেন্ট ও ফিডব্যাক সিস্টেম থাকে
- বেসিক থেকে এডভান্স লেভেল পর্যন্ত ধাপে ধাপে শেখানো হয়
- ডেমো লেসন দেখুন (যদি থাকে) -তাহলে কোর্সটি আপনার জন্য উপযোগী কিনা তা আগে থেকে বুঝতে পারবেন।
২. স্টুডেন্ট রিভিউ ও রেটিং যাচাই করুন
- রেটিং ও রিভিউ দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন আগের শিক্ষার্থীরা কতটা সন্তুষ্ট ছিল।
- কোর্সটি কি আপডেট ?
- কি ধরনের মন্তব্য বেশি দেখা যাচ্ছে প্রশংসা না অভিযোগ
- ফেসবুক গ্রুপ বা কমিউনিটি আছে কি ?
- রেটিং গাইড :৪.৫ বা তার বেশি রেটিং মানেই সাধারণত ভালো কোর্স।
৩. নিজের আগ্রহ ও লক্ষ্যের স্পষ্টতা
আপনি কোন ধরনের কাজ শিখতে আগ্রহী ফ্রিল্যান্সিং শেখার আগে প্রথমেই তা বুঝতে হবে।
কারণ একেক ওয়েবসাইট একেক বিষয়ের উপর বিশেষায়িত। জনপ্রিয় কিছু স্কিল :
- কনটেন্ট রাইটিং
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- গ্রাফিক ডিজাইন
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- ভিডিও এডিটিং
- ডাটা এন্ট্রি বা ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
৪. ইন্সট্রাক্টরের অভিজ্ঞতা ও প্রোফাইল যাচাই
শিক্ষকের অভিজ্ঞতা কোর্সের মান নির্ধারণের বড় ভূমিকা রাখে। চেক করুনঃ
- ইন্সট্রাক্টর নিজে কি ফ্রিল্যান্সিং করেছেন
- পূর্ববর্তী শিক্ষার্থীদের রিভিউ কি বলছে
- তাদের ফাইবার আপওয়ার্ক, বা অন্য প্লাটফর্মে প্রোফাইল আছে কি
৫. কোর্স ফি, স্কলারশিপ ও মূল্যবান অফার যাচাই করুন
একই ধরনের কোর্স ভিন্ন ভিন্ন ওয়েবসাইটে ভিন্ন দামে পাওয়া যায়। তাই তুলনা করুনঃ
- কোন ফ্রি ট্রায়াল ডিসকাউন্ট বা স্কলারশিপ অফার আছে কি
- লাইফ টাইম একসেস বা ইনস্টলমেন্ট সুবিধা আছে কি
- কোর্সটি কি সাশ্রয়ী
৬. ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা ও বিশ্বাসযোগ্যতা পরীক্ষা
অনলাইনে অনেক ফেক ও প্রতারক ওয়েবসাইট রয়েছে তাই নিচের বিষয়গুলো যাচাই করুনঃ
- প্রতিষ্ঠানের বয়স ও রেপুটেশন কেমন
- facebook /youtube /google এ তাদের নাম সার্চ করে রিভিউ দেখুন
- ওয়েবসাইটের ইউআরএল কি https:// দিয়ে শুরু হয়
৭. সার্টিফিকেট ও সাপোর্ট সিস্টেম
সঠিক গাইডলাইন ও সহায়তা ছাড়া শেখা অসম্পূর্ণ থেকে যায় তাই খেয়াল করুনঃ
- কি ধরনের সাপোর্ট পাওয়া যায় (লাইভ সাপোর্ট, Q & A সেশন)
- কোর্স শেষে কি কোন চাকরি/ প্রজেক্টর রেফারেন্স বা হেল্প করে
- কোর্স শেষে কি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়
শুধু জনপ্রিয়তা দেখে নয় বরং নিজের লক্ষ্য ও দক্ষতা অনুযায়ী যাচাই-বাছাই করে
ওয়েবসাইট বেছে নিন। একটি ভালো ফ্রিল্যান্সিং শেখার ওয়েবসাইট বাছাই করা মানে
আপনার ক্যারিয়ারের প্রথম ধাপে সঠিক বিনিয়ম করা।
শীর্ষ ১০টি ফ্রিল্যান্সিং শেখার ওয়েবসাইট
(১) Udemy
নতুন ও মধ্যম স্তরের শিখতে ইচ্ছুকদের জন্য উপযোগী। একবার কিনলে আজীবন এক্সেস।যারা
ইংরেজি জানেন না তাদের জন্য উপযোগী, বাংলায় কিছু কোর্সও আছে। এখানে লাখ লাখ
কোর্স রয়েছে, অনেকেই $5-$15 ডলারে কিনতে পারেন। Fiverr, Upwork,Freelancing কৌশল
শেখার জন্য আলাদা কোর্স রয়েছে।
(২) You Tube
Wordpress, Canva, Fiverr, Freelancing, Digital Marketing স্ট্র্যাটেিজি শেখানো
হয়। যাদের বাজেট কম বাংলায় ভিডিওতে আগ্রহী তাদের জন্য এটি উপযোগী। জনপ্রিয়
বাংলা চ্যানেল যেমন : Tech Help BD, 10 Minute School, Anisul Islam, Learn with
Sumit ইত্যাদি ফ্রিল্যান্সিং শেখায়। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে শেখার সবচেয়ে বড়
উৎসব।
(৩) 10 Minute School
যারা বাংলা ভাষায় ধাপে ধাপে শিখতে চান তাদের জন্য উপযোগী। অনলাইন লার্নিং
প্লাটফর্ম বাংলাভাষী শিক্ষার্থীদের জন্য খুব জনপ্রিয়। ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক
কোর্স গুলি তুলনামূলকভাবে সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষায় থাকে। ভিডিও এডিটি, গ্রাফিক্স
ডিজাইন এবং ফ্রিল্যান্সিং গাইড লাইন এবং সফট স্কিল শেখানো হয়।
(৪) Skillshare
Graphic Design, Business Branding, Freelancing ইত্যাদি শেখায়। যারা ভিডিও
এডিটিং, ডিজাইন, অ্যানিমেশন ইত্যাদি শিখতে চান তাদের জন্য উপযোগী। এক মাস ফ্রি
ট্রায়াল, তারপর সাবস্ক্রিপশন ভিত্তি হয়। ক্রিয়েটিভ ও ভিজ্যুয়াল স্কিল শেখানোর
জন্য আদর্শ।
(৫) Coursera
ফ্রিল্যান্সিং সংশ্লিষ্ট স্কিল যেমন : Graphic Design , Data Science , Digital
Marketing শেখানো হয়। শেখানোর মান অত্যন্ত উচ্চমানের। কোম্পানি ( Google, Meta)
ও বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ( Stanford, Yale) কর্তৃক তৈরি কোর্স। শেখার শেষে
সার্টিফিকেট পাওয়া যায়। (ফ্রী ও পেইড অপশন)। যারা একাডেমিক মানের গুছানো
লার্নিং চায় তাদের জন্য উপযোগী।
(৬) Linkedln Learning
যারা প্রফেশনাল লেভেলের স্কিল ডেভলপ করতে চান তাদের জন্য উপযোগী। এটি একটি
Linkedln দ্বারা পরিচালিত একটি প্রফেশনাল লার্নিং প্ল্যাটফর্ম। Time management,
Client Handling, Remote Work, Freelancing শেখানো হয়। কোর্স শেষে সার্টিফিকেট
Linkedln প্রোফাইলে দেখানো হয়।
(৭) FutureLearn
যারা একাডেমিক ও প্রফেশনাল গাইডলাইন চান তাদের জন্য উপযোগী। ব্রিটিশ
বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের কোর্স। Freelancing এর সাথে Project Management,
Professional Communication শেখানো হয়। কিছু কোর্স ফ্রী, সার্টিফিকেট পেতে হলে
পেইড সাবস্ক্রিপশন।
(৮) Google Digital Garage
যারা ফ্রি মার্কেটিং ও অনলাইন স্কিল শিখতে চান নতুনদের জন্য এটি উপযোগী। এটি
Google এর তৈরি ফ্রি ডিজিটাল স্কিল প্লাটফর্ম "Fundamentals of Digital
Marketing" কোর্সটি ফ্রিল্যান্সারদের জন্য খুবই উপযোগী। কোর্স শেষে google
স্বীকৃত সার্টিফিকেট পাওয়া যায়।
(৯) Great Learning
যারা ফ্রি অথেনটিক কোর্স চান এটি তাদের জন্য উপযোগী। অনেক ফ্রি সার্টিফিকেট কোর্স
রয়েছে এখানে। সোজাসাপটা লেকচার এবং প্র্যাকটিক্যাল প্রজেক্টসহ শেখানো হয়।
Freelancing এর পাশাপাশি SEO, Python, Data Analytics শেখানো হয়।
(১০) Shikhbe Shobai
বাংলাদেশ ভিত্তিক প্রতিষ্ঠিত ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। বাংলা ভাষাভাষী
যারা গাইডসহ ট্রেনিং চান তাদের জন্য উপযোগী। লাইক সাপোর্ট ও মেন্টোরিং সুবিধা
আছে। অনলাইন ও অফলাইন কোর্স করানো হয়। মার্কেটিং, ফাইভার গিগ অপটিমাইজেশন,
গ্রাফিক ডিজাইন শেখানো হয়।
বাংলা ভাষায় ফ্রিল্যান্সিং শেখার সেরা প্ল্যাটফর্ম
ফ্রিল্যান্সিং শেখা এখন আগের চেয়ে অনেক সহজ হয়েছে বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য।
অনলাইনে কিছু প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যারা সম্পূর্ণ বাংলায় হাতে-কলমে শেখায়
ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিভিন্ন স্কিল, যেমন : ভিডিও এডিটিং, ক্লাইন্ট ম্যানেজমেন্ট,
গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন এবং ডিজিটাল মার্কেটিং। নিচে বাংলা ভাষায় শেখার
জন্য সেরা কয়েকটি প্লাটফর্মের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হলঃ
(১) Coders Trust Bangladesh
এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা বিশ্বব্যাপী কাজ করে, যারা বাংলাদেশের জন্য আলাদা বাংলা
কোর্স চালু করেছে। এখানে WordPress, Microsoft Office, Programming এবং
Freelancing শেখানো হয়। সারাদেশে শাখা রয়েছে।
(২) Learning and Earning Development Project (LEDP)
ফ্রিল্যান্সিং শেখাতে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে বাংলাদেশে সরকারের আইসিটি
বিভাগের প্রকল্প। উপজেলা পর্যায়ে ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট,
গ্রাফিক ডিজাইন, ও ডিজিটাল মার্কেটিং শেখানো হয়।
(৩) 10 Minute School
ফ্রিল্যান্সিং শেখার সেরা প্লাটফ্রর্ম গুলোর মধ্যে 10 Minute School অন্যতম। এটি
ব্র্যাক ব্যাংকের দ্বারা পরিচালিত একটি ফ্রিল্যান্সিং শেখার প্ল্যাটফর্ম। এখানে
আপনি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং গাইডলাইন, ফেসবুক মার্কেটিং এবং
ক্যানভা ইত্যাদি শিখতে পারবেন।
(৪) Bohubrihi
আপনি যদি Digital Marketing, Freelancing Career Guide, Web Development, SEO
কোর্স বাংলায় শিখতে চান তাহলে Bohubrihi আপনার জন্য ভালো অপশন হতে পারে। এটি
বাংলা ভাষায় প্রফেশনাল কোর্স সরবরাহকারী একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম। এই
প্লাটফর্ম থেকে সার্টিফিকেট ও প্রজেক্ট বেস্ট লার্নিং এর সুবিধা পাওয়া যায়।
(৫) Shikhbe Shobai
Shikhbe Shobai প্লাটফর্মটিতে Fiverr, Upwork, Graphic Design , Web Design ও
Digital Marketing কোর্স রয়েছে। এটি বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ফ্রিল্যান্সিং
ট্রেনিং ইনস্টিটিউট। লাইভ ক্লাস মেন্টোরিং ও ফিডব্যাক এর সুবিধা দেয় এটি। এই
প্লাটফর্মটি অনলাইন ও অফলাইন উভয় পদ্ধতিতে কোর্স অফার করে।
ফ্রিল্যান্সিং কোর্স ফ্রি নাকি পেইড – কোনটা ভালো?
অনলাইনে দুই ধরনের কোর্স পাওয়া যায় - ফ্রি এবং পেইড। অনেকেই প্রশ্ন করেন, কোনটা
ভালো ? চলুন দুটোর মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা করা যাক।
ফ্রি কোর্সের সুবিধা
You Tube, FreeCodeCamp, HubSpot Academy এবং Google Digital Garage এর মত
প্ল্যাটফর্ম গুলো ফ্রিল্যান্সিং সংশ্লিষ্ট Web Development, SEO, Digital
Marketing, Content Writing ইত্যাদি বিষয়ে সম্পূর্ণ ফ্রি কোর্স অফার করে। সুবিধা
গুলো হলোঃ
- বিনামূল্যে শেখা যায়,তাই বাজেট নিয়ে ভাবার দরকার নেই
- উপযুক্ত মোটিভেশন থাকলে ফ্রি কোর্স থেকেও ভালো স্কিল অর্জন করা সম্ভব।
- সেলফ পেসড হওয়ায় নিজের সময় অনুযায়ী শেখা যায়।
পেইড করতে সুবিধা
- Shikhbe sobai, Bohubrihi, Coders Trust, Coursera, Udemy এই প্লাটফর্মগুলোতে নির্দিষ্ট ফি দিয়ে ভর্তি হতে হয়। পেইড কোর্সের সুবিধা গুলো হলোঃ
- পেড কোর্সের সুবিধা হল আন্তর্জাতিক বা দেশীয় স্বীকৃতি পাওয়া যায়। যা ক্লায়েন্টের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ায়।
- জব সাপোর্ট ও ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গাইডেন্স এর মাধ্যমে ফাইভার / আপওয়ার্কে কিভাবে কাজ পাওয়া যায় তা হাতে কলমে শেখানো হয়।
- একজন নতুন শিখনার্থীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো গাইডেড লার্নিং । এখানে নতুনদেরকে ধাপে ধাপে সবকিছু শেখানো হয়।
- লাইভ ক্লাস ও মেন্টরিং পেইড কোর্সে ব্যক্তিগত মেন্টরের সহায়তা পাওয়া যায়।
উপসংহার
আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আশাকরি আর্টিকেলটির
মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শেখার সেরা ওয়েবসাইট গুলো সহ আরও ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত
জানতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অন্যদের সাথে শেয়ার করুন, এমন ভিভিন্ন
ধরনের তথ্য মূলক আর্টিকেল পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। আপনাদের
সুস্থতা কামনা করে আজকের মতো আমি বিদায় নিচ্ছি, আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url