অতিথি পাখি অনুচ্ছেদ
  আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। আপনি কি অতিথি পাখি অনুচ্ছেদটি খুঁজছেন? যদি খুঁজে
  থাকেন তাহলে একজন সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন কেননা আমরা এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের
  জন্য অতিথি পাখি অনুচ্ছেদটি তুলে ধরেছি।
আশা করি অনুচ্ছেদটি আপনাদের পরীক্ষায় কাজে আসবে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি অতিথি
  পাখি অনুচ্ছেদটি পড়তে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ
  সহকারে সম্পূর্ণ শেষ পর্যন্ত পড়ুন। তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে মূল বিষয়ে যাওয়া
  যাক।
অতিথি পাখি
  বাংলাদেশ পাখ-পাখালির দেশ। এদেশের গাছে-গাছে, ঘরবাড়ির আশপাশে, বনে-জঙ্গলে,
  ঝোপে-ঝাড়ে, খালে-বিলে, নদী-নালায় অসংখ্য পাখি বাস করে। এছাড়াও পৃথিবীর নানা
  প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে আমাদের দেশে প্রতিবছর অসংখ্য অতিথি পাখি
  আসে। আমাদের এ অতিথিরা সাধারণত শীতকালে আসে। এরা শীতপ্রধান দেশ থেকে কিছুদিনের
  জন্য বাংলাদেশে আসে এবং বিল-ঝিল, নদী-নালায় ও হাওরে বিচরণ করে। এদের কলকাকলিতে
  এদেশের হাওড়-বাঁওড়, নদী-নালা মুখর হয়ে ওঠে। শীতের শেষে এরা আবার নিজ দেশে ফিরে
  যায়। এদের মধ্যে বলাকা, ফ্লাইক্যাচার, পিপিট, খঞ্জনা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
  প্রাকৃতিক লীলা বৈচিত্র্যের এদেশে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অতিথি পাখিদের অবদান
  অনেক। অথচ কতিপয় অসৎ ব্যক্তি নির্বিচারে অতিথি পাখি নিধন করে। যা মানবিক বোধের
  পরিপন্থি। ফলে বাঙালির অতিথিপরায়ণতার বিষয়টি হয়ে পড়ে বিতর্কিত। অতিথি পাখিদের
  আমাদের অতিথির মতোই সাদরে গ্রহণ করা উচিত। তাদের জন্য তৈরি করা উচিত অভয়ারণ্য।
  অতিথি পাখিরা আমাদের সামনে কাঁটাতারমুক্ত অবাধ বিচরণের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে
  যায়। বিশ্বায়নের যুগে এই বার্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সমন্ত ভেদাভেদ ভুলে
  বিশ্বমানবের ঐক্যের প্রতি সহানুভূতি সৃষ্টি করে নানা দেশের অতিথি পাখিরা।
  প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমাদের অতিথি পাখি
  রক্ষায় বিশেষ সচেতন হতে হবে। অতিথি পাখিদের সাদরে বরণ এবং তাদের নিরাপত্তা
  নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করতে হবে। পাখি শিকারিদের কঠোর হস্তে প্রতিরোধ করতে হবে।
  সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত পাখি নিধনে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। সর্বোপরি অতিথি পাখি
  শিকার রোধে সচেতনতা গড়ে তোলা বিশেষ প্রয়োজন।

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url